মেজর (অব.) মিজান নিয়ে মুখ খুললেন মির্জা ফখরুল!

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মিজানুর রহমানের নামে প্রচারিত অডিও ক্লিপটিকে কাল্পনিক ও সরকারের নতুন নাটক বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৬ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।

বিৃবতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতীতে যেমন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকে তুলে নিয়ে গুম করে দেওয়া হয়েছিল, আমরা মনে করি গভীর রাতে মেজর (অব.) মিজানকে তুলে নিয়ে যাওয়া তেমনই একটি চেষ্টা ছিল। কিন্তু বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে গুম করা সম্ভব হয়নি এবং সমগ্র দেশের জনগণ ও বিদেশের মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ‘সরকার তাদের ঘৃণ্য কাজকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এখন নতুন নাটক হিসেবে একটি কাল্পনিক অডিও ক্লিপ বাজারে ছেড়ে দাবি করছে মেজর (অব.) মিজানুর রহমান গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। ওই অডিওতে এমন কোনও যন্ত্রের উল্লেখ নেই যেটি দিয়ে নাশকতা করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই অডিও যদি সত্যিই হতো, তাহলে সেটা আগে প্রকাশ করে পরে আইনের আওতায় আনতে পারতো। যেহেতু তাকে গুম করার চেষ্টা প্রকাশ হয়ে গেছে, তাই সরকার ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এই বানোয়াট অডিও ছেড়ে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার মেজর (অব.) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা নাশকতার গল্প ছড়াচ্ছে।’

মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘অব্যাহতভাবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরের মাধ্যমে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর এই জুলুমের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিরোধী দলগুলোর অস্তিত্ব মুছে ফেলে নিজেদের একচ্ছত্র স্বৈরাচারী শাসন টিকিয়ে রাখা।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশে আইন কানুনের বালাই নেই, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে যা বোঝায় তা এখন পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মানবতাবিরোধী সব কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সবাই বর্তমান ভয়াবহ দুশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে গণতান্ত্রিক শক্তিসহ সবার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’